বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

তিন ক্লিকেই বন্ধ করুন ফেসবুক ভিডিওর অটো প্লে

3
লক্ষ্য করেছেন কী ফেসবুকে ঢুকলেই হোমপেজে বিভিন্ন ভিডিও অটো চালু হয়ে যাচ্ছে। যারা আনলিমিটেড ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তাদের এতে খুশি হওয়ারই কথা। কিন্তু যারা লিমিটেড বা মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তারা নিশ্চয়ই বিরক্ত। আর তার ওপর আছে অতিরিক্ত মেগাবাইট পোড়ার অপচয়। যদি ফেসবুক ভিডিওর অটো প্লে আপনার বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তবে খুব সহজেই আপনি এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। মাউসের মাত্র তিন ক্লিকেই বন্ধ করতে পারেন ফেসবুক ভিডিওর অটো প্লে। আসুন দেখি কীভাবে মাত্র তিন ক্লিকে এটা বন্ধ করা যায়! ধাপ ১ঃ সেটিংসে যান। আপনার সুবিধার জন্য ছবিতে হাইলাইট করে দেয়া হলো। (যেখানে ক্লিক করে লগ আউট করেন, ঠিক সেখানেই সেটিংস অবস্থিত)।3ধাপ ২ঃ বাম দিকে একটি মেনু পাবেন। সেই মেনুর একেবারে নিচে VIDEOS নামে একটা অপশন আছে। এতে ক্লিক করুন।5ধাপ ৩ঃ এবার দেখবেন AUTO PLAY VIDEOS নামে একটা অপশন আছে, তার ডান দিকে DEFAULT লেখা আছে, ক্লিক করে OFF সিলেক্ট করে দেন।6ব্যস! বন্ধ হয়ে গেল অটো ভিডিও প্লে। তবে আপনি কিন্তু এখনও ক্লিক করে ভিডিও দেখতে পারবেন, ঠিক এতদিন যেভাবে দেখছিলেন। অটো ভিডিও প্লে চালু করতে চাইলে একইভাবে তৃতীয় ধাপে গিয়ে অন বাটন ক্লিক করলেই হবে।

বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০১৩

পানিতে ভেজা মোবাইল রক্ষা করুনঃ ১২ টি ধাপে

বর্ষাকালে আপনার মোবাইল ভিজে যাওয়া কোন কঠিন ব্যাপার না। আপনি কি কখনও আপনার শখের মোবাইল টি ভুল বশত পানিতে ফেলে দিয়েছেন? অথবা এর চেয়েও খারাপ… টয়লেটে?! গরমে অস্থির হয়ে পকেটে রেখেই বাথরুমে গোসল করতে শুরু করে দিয়েছেন? বা পকেটে রেখেই সাঁতার কেটেছেন? অথবা ভুল বশত মসজিদে অজুর স্থানে মোবাইলটি ফেলে দিয়েছেন? যেভাবেই মোবাইল ভিজুক না কেন, ভেজা মোবাইল মানেই আপনাকে টা পরিবর্তন করতে হবে। কিন্তু আপনি যদি দ্রুততার সাথে কিছু পদক্ষেপ নেন, হয়ত আপনার মোবাইল টি জানে বেঁচে জেতে পারে। নিম্নোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করুন এবং আপনার মোবাইল ভিজে গেলে একে বাঁচানোর চেষ্টা করুন।
  • ১। মোবাইলটি যত দ্রুত সম্ভব পানি থেকে বের করে ফেলুন। মোবাইল এর প্লাস্টিক কভারটি মোটামুটি শক্ত হয়ে থাকে, কিন্তু এতে পানি ঢুকতে খুব বেশি সময় লাগে না, খুব বেশি হলে ২০ সেকেন্ড। মোবাইলটি তাড়াতাড়ি ধরে নিন। একে ভুলেও চালু করবেন না, কারণ এতে খুব সহজেই শর্টসার্কিট হতে পারে (যদি চালু থাকে, তবে তৎক্ষণাৎ বন্ধ করে দিন)। পানিতে গেলে এক শুকানো অপরিহার্য, কাজ করুক বা না করুক।
    071812 1711 1 পানিতে ভেজা মোবাইল রক্ষা করুনঃ ১২ টি ধাপেযদি পানি থিকে বের করতে দেরি করে ফেলেন, তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যাটারি খুলে ফেলুন। এতে মোবাইল এর মধ্যে সকল বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধের নিশ্চয়তা দেওয়া যায়।
  • ২। মাথা ঠাণ্ডা রাখুন। আপনার ফোনটি যদি দ্রুত বেদ করে ফেলে, তবে হয়তবা তেমন ক্ষতি হয়নি। আর যদি দেরি হয়েও যায়, মনে হয় না যে আপনার মাথা গরম করে ফোনটিকে শুকাতে পারবেন। হাল ছেড়ে দেওয়ার আগে আরও অনেক কিছু করার আছে।
    071812 1711 2 পানিতে ভেজা মোবাইল রক্ষা করুনঃ ১২ টি ধাপে
  • ৩। মোবাইলের ব্যাটারি খুলে ফেলুন। এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপের একটি। বিদ্যুৎ আর পানির মধ্যে কেমন বিক্রিয়া হচ্ছে সেটা না ভাবলেও চলবে, মদ্দা-কথা এরা দুজন কখনও এক সাথে থাকতে পারে না। মোবাইলের ভিতরে অনেক বিশেষ বিশেষ অংশ আপনি ক্ষতির হাত থিকে বাঁচাতে পারেন যদি আপনি এর শক্তির উৎস (ব্যাটারি) টিকে বিচ্ছিন্ন করে দেন।
    071812 1711 3 পানিতে ভেজা মোবাইল রক্ষা করুনঃ ১২ টি ধাপে
  • ৪। সিম কার্ডটি খুলে ফেলুন। এতে অনেক প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী থাকতে পারে। অনেকের কাছে ফোনটির চেয়ে সিম কার্ডের ওই তথ্য গুলোর মূল্যই বেশি। যদিও সিম কার্ড খুব সহজে নষ্ট হয় না, তবে ফোনটি বাঁচাতে পরবর্তী কয়েকটি ধাপ হয়ত সিমের জন্যে সহায়ক হবে না। খুলে শুকনো করে এক পাশে রেখে দিন, যতক্ষণ আপনার ফোন ব্যবহার উপযোগী না হয়।
071812 1711 4 পানিতে ভেজা মোবাইল রক্ষা করুনঃ ১২ টি ধাপে
  • ৫। মোবাইলে ব্যবহৃত অন্যান্য জিনিস গুলোও আলাদা করে দিন। যেমন: কভার, হোল্ডিং ইত্যাদি।
071812 1711 5 পানিতে ভেজা মোবাইল রক্ষা করুনঃ ১২ টি ধাপে
  • ৬। মোবাইল ফোনটি ভালভাবে শুকান। এক ফোঁটা পানিও মারাত্মক হতে পারে ফোনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশে প্রবেশ করে। তাই আপনাকে অবশ্যই দ্রুত এবং সতর্কতার সাথে শেষ বিন্দু পরিমাণ পানিও মুছে ফেলতে হবে।
071812 1711 6 পানিতে ভেজা মোবাইল রক্ষা করুনঃ ১২ টি ধাপে
দ্রষ্টব্য: হালকা ভাবে মোবাইল টি মুছবেন। অতিরিক্ত ঝাঁকালে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন অংশে পানি ঢুকে যেখান এখনও পর্যন্ত পানি প্রবেশ করেনি। এক্ষেত্রে, হিতে বিপরীত হয়ে যাবে।
টিস্যু পেপার বা সুতির কাপড় ব্যবহার করুন। হালকা ভাবে প্রতিটি কোণা মুছে ফেলুন। ফোনের যেসব অংশে ছিদ্র বা গর্তের মত আছে (যেমন: কী-প্যাড), সেখানে টিস্যুর শুকনো অংশই ব্যবহার করুন। কারণ, ভাজ অংশের পানি ভিতরে চলে জাতে পারে।
ব্যাটারি খুলে অভ্যন্তরীণ অংশ মুছতে ভুলবেন না যেন।
  • ৭। সম্ভব হলে ভ্যাকুম ক্লিনার ব্যবহার করুন। আপনার ফোনের বিভিন্ন অংশের মধ্যে থেকে একদম ক্ষুদ্র পানির বিন্দু টেনে বের করতে এর জবাব নেই। তাই, যদি বাসায় ভ্যকুম ক্লিনার থেকে থাকে তবে একে ব্যবহার করুন। ফোনটির প্রতিটি সম্ভাব্য অংশে এর ব্যবহার করুন। এতে আপনার ফোনটি অনেকাংশেই শুকিয়ে যাবে, কিন্তু এখনও এটি চালু করা মোটেও নিরাপদ নয়। তাই, তাড়াহুড়ো করবেন না।
071812 1711 7 পানিতে ভেজা মোবাইল রক্ষা করুনঃ ১২ টি ধাপে
দ্রষ্টব্য: ভ্যকুম ক্লিনার এর পরিবর্তে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না (Cold Mode এও নয়)। এতে অনেক অংশের পানি ভিতরে ঢুকে যেতে পারে। আর যদি ড্রায়ার খুব গরম হয়, তবে আপনার ডিভাইস টির ক্ষতি হতে পারে। তাই ভুলেও, হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না।
  • ৮। মোবাইলটি শুকাতে চাল ব্যবহার করুন। শুকনো চাল খুব ভাল কাজ করে থাকে। এর মধ্যে এক রাতের জন্য আপনার মোবাইল টি রেকে দিন। এতে, মোবাইল এ এক কণা পানিও বাকি থাকবে না।
071812 1711 8 পানিতে ভেজা মোবাইল রক্ষা করুনঃ ১২ টি ধাপে
দ্রষ্টব্য: ঘুমোতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায় ফোনটি উল্টে দিন।
  • ৯। চাল থেকে বের করার পরে শুকনো একটি তোয়ালেতে ফোনটি রাখুন। মনে রাখবেন, এই সব কিছুর উদ্দেশ্যই হচ্ছে ফোনটিকে পুরোপুরি ভাবে শুকানো। তাই ভেজা তোয়ালে বা অন্য কিছু ব্যবহার করে এতক্ষণের সকল মেহনত নষ্ট করে দিবেন না।
071812 1711 9 পানিতে ভেজা মোবাইল রক্ষা করুনঃ ১২ টি ধাপে
  • ১০। সময় হয়েছে ফোনটি টেস্ট করার। আপনি যদি অন্তত ২৪ ঘণ্টা বা এর চাইতে বেশি সময় (সম্ভব হলে) অপেক্ষা করে উপরের ধাপগুলো পূর্ণ করে থাকেন, তাহলে এখন ফোনটি চালু করতে পারেন। ভালভাবে পরিষ্কার করে ব্যাটারিটি লাগান এবং ফোনটি চালু করুন।
071812 1711 10 পানিতে ভেজা মোবাইল রক্ষা করুনঃ ১২ টি ধাপে
টিপস: যদি ফোনটি এখনও কাজ না করে, একে ব্যাটারি ছাড়া চার্জারে লাগিয়ে দেখতে পারেন। যদি দেখেন কাজ হচ্ছে, তাহলে আপনাকে একটি নতুন ব্যাটারি কিনতে হবে।
আর যদি টা না হয়, তবে সময় হয়েছে এটিকে একজন প্রফেশনাল মেকানিক এর কাছে নেওয়ার। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল হবে যদি আপনি ফোনটিকে ফোনের ব্র্যান্ড অনুযায়ী ডিলারের কাছে বা সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যান। যেমন: নকিয়ার জন্য নকিয়া কেয়ার সেন্টার। তাদের কাচ থেকে পানিতে পড়ার বিষয়টি লুকনো খুব ভাল আইডিয়া হবে না। কারণ, অনেক ক্ষেত্রে মোবাইল ভিজলে একে বিশেষ ভাবেই ঠিক করতে হবে, নতুবা সার্ভিস কোন কাজে দিবে না।
  • ১১। শুকানোর পরেও যদি ফোনটি চালু না হয়, আপনি একে পুরোপুরি ভাবে খুলতে পারেন (যদি আপনার প্রাথমিক ধারণা থেকে থাকে)। এর কেসিং এবং অন্যান্য সকল অংশ সাবধানতার সাথে খুলে টিস্যু পেপার দিয়ে মুছুন। আপনি আবার ভ্যকুম ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন যাতে কোন ঢিল অংশ জেন এর ভেতরে চলে না যায়। আর আপনি যদি ফোনটি খুলতে সাহস না পান, তবে আপনার কোন বন্ধু বা পরিবারের অন্য কার কাছে সাহায্য চাইতে দ্বিধা বধ করবেন না। তেমনটি সম্ভব না হলে, প্রফেশনাল ব্যক্তির সাহায্য নিন।
071812 1711 11 পানিতে ভেজা মোবাইল রক্ষা করুনঃ ১২ টি ধাপে
টিপস: যদি দেখে ফোন চালু হয়েও উল্টো পাল্টা আচরণ করছে, তাহলে বুঝবেন ভিতরে আপনি কিছু পানি মিস করে দিয়েছেন। এক্ষেত্রে আবার খুলে ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে দেখুন। অথবা, মোবাইল ফোনের প্রফেশনালের সাহায্যে এমন ক্রুটি খুবই সহজে দূর করতে পারেন।
  • ১২। আপনি যদি অ্যাপলের আইফোন ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন, তবে আপনি আপনার স্মার্টফোনটিকে পেপার তাওয়াল দিয়ে মুছে খুব সহজেই ব্যবহার উপযোগী করে তুলতে পারেন।এছাড়া আপনি আপনার আইফোনের জন্য ওয়াটারপ্রুফ কভার কিনতে পারেন যদি আপনার আইফোন 4বা 4S থাকে। আর যদি আইফোন 3GS বা পূর্বের ভার্সন থাকে, কভারের সুবিধাটা আপনার কপালে নেই=(
071812 1711 12 পানিতে ভেজা মোবাইল রক্ষা করুনঃ ১২ টি ধাপে

টিপস:

  • মোবাইল ফোনের সকল অংশ খুলে শুকনো জায়গায় রাখুন।
  • মোবাইলটি যদি একই সময় ভাজে এবং চালু থাকে, এটা মারাত্মক হয়ে থাকে। যদি আপনি ভিতরের পার্টস জ্বলে যাওয়ার আগেই এটিকে বন্ধ করতে পারেন, আপনার মোবাইল হয়ত বেঁচে যাবে।
  • অতিরিক্ত তাপমাত্রা মোবাইলের জন্য ক্ষতিকারক। ধৈর্যের সাথে ফোনটি শুকান। অধৈর্য হয়ে অতিরিক্ত তাপ প্রয়োগ করবেন না। মনে রাখবেন, মোবাইল ফোন ভেজে ফেলা আপনার উদ্দেশ্য নয়।
  • ফোনেটির ভিতরের কিছু অংশে আপনি বিশেষ ভাবে তাপ দিতে পারেন। যেমন: টেবিল ল্যাম্প বা হিটার এর সাহায্যে।
  • আমি এই টিপসগুলো বর্ষাকালের আবহাওয়া এবং এর সমস্যাকে মাথায় রেখে করেছি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আপনার পক্ষে সম্ভব নয় বৃষ্টির পানিতে ভিজে যাওয়া কোন মোবাইল সার্ভিস করতে দোকানে নিয়ে যাওয়া যখন বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে বা অন্য কোন জরুরি অবস্থায়। হাত পা গুটিয়ে বসে না থেকে উপরের ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি নিজেই মোবাইল টিকে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করে তুলতে পারেন।

সতর্কতা:

    ImageResizeServlet3 পানিতে ভেজা মোবাইল রক্ষা করুনঃ ১২ টি ধাপে
  • ফোনটিকে ভেজা অবস্থায় ফেলে রাখবেন না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুকাতে শুরু করুন।
  • ফোনটি কোনভাবেই শুকানোর আগে চালু করার চেষ্টা করবেন না। এতে শর্টসার্কিট হয়ে পুরো ফোনটিই বাতিল হয়ে যাবে। আমি একবার এভাবে চালু করায় ফোনের ডিসপ্লে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। যদিও আমি সারাদিন শুকিয়ে ছিলাম।
  • মোবাইল ফোন শুকাতে ওভেন ব্যবহার করতে যাবেন। যেমনটি আগে বললাম, আপনি মোবাইলটি ভাজতে বা গলাতে এসব করছেন না।
  • ব্যাটারিটি অতিরিক্ত তাপ থেকে দূরে রাখুন। খুব সহজেই আগুন লেগে যেতে পারে।
  • আজকালকার অধিকাংশ আধুনিক মোবাইল ফোনের ব্যাটারির নিচেই একটি “liquid damage indicator sticker”থাকে। যা পানি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হলে রঙ পরিবর্তন করে (যেমন: লাল থেকে গোলাপি হয়ে যায়)। যাতে করে মোবাইল টেকনিশিয়ানরা বুঝতে পারেন আপনি কি ঘটনা ঘটিয়েছেন। আমার জানামতে, কোন ওয়ারেন্টই “water damage”সাপোর্ট করে না। এজন্য যদি মিথ্যা বলে ফ্রি সার্ভিস করাতে চান, মফিজ হয়ে যাবেন
  • তৎক্ষণাৎ পানি থেকে বের করে ব্যাটারি খুলে ফেললে, আপনার মোবাইল টি বাঁচার সবচেয়ে বেশি আশা থাকবে।

মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

কল ব্লক না করেও শিক্ষা দিন বিরক্তিকর কলারকে

অনেক সময় আমাদের মোবাইল এ বিরক্তিকর কল আসে। সেটা বন্ধ করতে আমরা বেছে নেই কল ব্লক সার্ভিস। সে জন্য অপারেটররা প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা কেটে নেয়। এমনকি আমরা বিভিন্ন প্রকার কল ব্লক সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আমরা অনেকেই এই ২ টি পদ্ধতির কনটাই ব্যবহার করতে পারিনা বা চাইনা। তাই এইসব ঝামেলায় না গিয়ে আপনাদের একটা সহজ টিপস দেব।

আপনারা অনেকেই হয়ত এটা জানলেও জানতে পারেন । চলুন দেখে আসি কিভাবে এটা করবেন ।
*** জিপি, রবি, বাংলালিংক এবং এয়ারটেল গ্রহকদের জন্য ***
প্রথমে আপনি আপনার মোবাইল এর call divert অপশন এ জান (voice call) ।
তারপর সেখান থেকে Divert when busy / If busy তে চাপুন এবং Activate চাপুন ।
তারপর To other number এ নিচের অপারেটর অনুসারে নাম্বার বসিয়ে দিন এবং Ok চাপুন । বাস আপনার কাজ শেষ ।
ক) জিপি এর জন্য – ১২৬৬
খ) রবি এর জন্য – ৮১২১
গ) বাংলালিংক এর জন্য – ৭৭০
ঘ) এয়ারটেল এর জন্য – ৭৮৯
** সিটিসেল এবং টেলিটক গ্রাহকরা তাদের voice mail নাম্বার বাবহার করে ট্রাই করে দেখেন হতেউ পারে ।
এবার ফলাফলঃ
এখন যে কলার ই আপানাকে call করুক না কেন, আপনি শুধু call টা কেটে দিন । এখন যে আপনাকে call করেছে তার ১২টা বাজতে শুরু করেছে । অর্থাৎ তার মোবাইল এ Call টা রিসিভ হয়ে গ্যাসে । ভয় নেই, আপনার টাকা কাটবেনা। আমার কথা বিশ্বাস না হলে হাতের কাছের মোবাইল টা দিয়ে ট্রাই করে দেখুন ।
**cancel করতে Divert when busy / If busy তে গিয়ে cancel চাপুন ।

শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১২

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার পটভূমি

মারমারা প্রথম যখন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরে বসতি শুরু করে একটি টিলার উপর তাদের ধর্মীয় উপাসনালয় স্থাপন করে। তার নীচে পাড়া ঘেষে ছোট একটি খাল প্রবাহিত। যা আজ ও আছে। যাকে তারা নাম দিয়েছিল ‘‘দেবতার খাল’’ পাহাড়টিকে দেবতার পাহাড়। তাদের ভাষায় ‘‘নাঞা’’ অর্থ দেবতা বা ভূত টং অর্থ পাহাড় আর এক অর্থে নাঞা অর্থ দেবতা বা ভূত স্চং অর্থ খাল। নাঞাটং অর্থ দেবতার পাহাড় বা ভূতের পাহাড় মতান্তরে নাঞাস্চং অর্থ দেবতার খাল বা ভূতের খাল। এই হতে নাইক্ষ্যংছড়ি নামের উৎপত্তি। পার্বত্য অঞ্চলে বেশীর ভাগ স্থানের নামের সাথে ‘‘খাল ছড়ার’’ নাম যুক্ত হয়ে নামকরণ লক্ষ্য করা যায়। নাইক্ষ্যংছড়ি থানা ১৯২৩ সালে প্রতিষ্ঠা হয় এবং ১৯৮২ সালে উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ইহার উত্তরে লামা  ও আলীকদম উপজেলা, দক্ষিণ-পুর্বে মায়ানমার  এবং পশ্চিমে কক্সবাজার জেলার রামু ও উখিয়া উপজেলা।
এক নজরে নাইক্ষ্যংছড়ি
আয়তন ৪৬৯.০০ বর্গ কিলোমিটার
জনসংখ্যা ৫৪,৩০০ জন (২০০১ সালের
আদমশুমারী অনুযায়ী)
ঘনত্ব ৩৪৫জন প্রতি বর্গমাইলে
নির্বাচনী এলাকা ৩০০ নং আসন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা
ইউনিয়ন ০৪টি     (নাইক্ষ্যংছড়ি সদর,
বাইশারী,ঘুমধুম,দোছড়ি )
মৌজা ১৭ টি
সরকারী হাসপাতালঃ    ০১ টি
স্বাস্থ্য কেন্দ্র/ক্লিনিকঃ      ০৩ টি
পোষ্ট অফিসঃ    ০৩টি    (নাইক্ষ্যংছড়ি সদর,
চাকঢালা,বাইশারী)
হাটবাজাঃ        ০৫ টি   (নাইক্ষ্যংছড়ি,চাকঢালা,বাইশারী.লেমুছড়ি,তুম্রব্রু)

মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০১১

ছবি এডিটিংয়ের কিছু ফ্রিওয়্যার সফটওয়্যার

অনেকেই মনে করি ছবিকে আকর্ষণীয় এবং সুন্দর করার জন্য ফটোশপের বিকল্প নেই। কিন্তু ক’জনই বা ফটোশপ ব্যবহার করতে পারে? ফটোশপ না ব্যবহার করেও ছবিগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করা যায় কিছু ফ্রিওয়্যার সফটওয়্যারের মাধ্যমে। সেরকমই কিছু সফটওয়্যার হচ্ছে :
Face Smoother
আমরা ছবি সুন্দর করার জন্য অনেক রকম সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকি। তবে Face Smoother 2.51 সফটওয়্যারটির মাধ্যমে খুব সহজেই ছবিকে smooth বা শার্প করা যাবে। ফলে ছবি হয়ে উঠবে আরও আকর্ষণীয়। এছাড়াও ছবিকে রিসাইজ বা কালার অফলঁংঃ করা যাবে। মাত্র ২ মেগাবাইটের এই সফটওয়্যারটির ডাউনলোড ঠিকানা : http://download.cnet.com/Face-Smoother/3000-2192_4-
swf text
যে কোনো ফরমেটের ছবিকে flash-এ রূপান্তর করার অসাধারণ একটি সফটওয়্যার হচ্ছে swf text। এটা দিয়ে যে কোনো ফরমেটের
ছবিকে বিভিন্ন effect-এর মাধ্যমে flash-এ রূপান্তর করা যাবে নিমিষেই। মাত্র ২.২৬ মেগাবাইটের এই সফটওয়্যারটি দিয়ে ডাউনলোড করে নিন www.mediafire.com/?txqx0zgwdgt wVKvbvi mvBU †_‡K|
Sqirlz Water
যারা নিজের ছবিকে অ্যানিমেটেড করতে চান তাদের জন্য সহজ এবং আদর্শ একটি সফটওয়্যার ঝয়রত্ষু ডধঃবত্। ছোট এই সফটওয়্যারটি দ্বারা পছন্দের যে কোনো ছবিতে ওয়াটার রিফেক্সলেশন ব্যবহার করে মরভ অ্যানিমেটেড ছবি বানানো যায়। এছাড়া অন্যান্য ফরম্যাটেও এডিটিং করার পর কম্পিউটারে সংরক্ষণ করা যাবে। সফটওয়্যারটি .িংহধঢ়ভরষবং.পড়স/মবঃ/ংয়রত্ষুধিঃবত্.যঃসষ ঠিকানার সাইট থেকে ডাউনলোড করে নিন।
Photo shine
ছবিকে আকর্ষণীয় করে তোলার চমত্কার একটি সফটওয়্যার হচ্ছে চযড়ঃড় ংযরহব। এতে ৯টি টুল রয়েছে। ব্যবহার না করলে বোঝাই যাবে না যে কত সুন্দর সুন্দর ইফেক্ট আপনি আপনার ছবিতে ব্যবহার করতে পারবেন। সফটওয়্যারটি ২৯ মেগাবাইটের। ডাউনলোড ঠিকানা : http://www.brothersoft.com/photoshine-211203.html
DreamLight Photo Editor
এই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে খুব সহজেই ছবিতে অসাধারণ সব ইফেক্ট দিতে পারবেন, যা কল্পনাকেও হার মানায়। আর এর সঙ্গে মিল রেখেই সফটওয়্যারের নাম রাখা হয়েছে উত্বধসখরমযঃ চযড়ঃড় ঊফরঃড়ত্। এতে প্রায় ১২৮টি ইফেক্ট আছে। তবে এর চেয়েও বেশি ইফেক্ট দেয়া যাবে। যেমন প্রথমে একটা ইফেক্ট দিলেন তারপর ওইখানে আরেকটা ইফেক্ট দিলেন। এভাবে হাজারের বেশি ইফেক্ট দেয়া যাবে।
Black Magic Pro
খুব সহজেই যে কোনো পুরনো, সাদা-কালো, নষ্ট ছবিকে সহজেই রঙিন বা সুন্দর করতে পারবেন ছোট্ট একটি সফটওয়্যার দিয়ে। আর সেটি হচ্ছে Black Magic Pro V 2.80। সফটওয়্যারটিতে আকর্ষণীয় কিছু টুলস আছে যা দিয়ে অনেক কিছু করা যাবে ছবিতে। আমাদের দেশের অনেক স্টুডিওতে এই সফটওয়্যারটি দিয়ে ছবিকে রঙিন করা হয়। ডাউনলোড ঠিকানা : www.download.ir/archives/2007/08/black_magic_pro_28.php

শুক্রবার, ২৫ মার্চ, ২০১১

কম্পিউটারের কি বোর্ডের ওপরের দিকে F1 থেকে F12 পর্যন্ত যে এক ডজন কি আছে সেগুলোকে বলা হয় ফাংশন কি। এসব কি একবার চেপেই বিভিন্ন সফটওয়্যারে নানা রকম কাজ করা যায়।

F1 : সহায়তাকারী কি হিসেবে ব্যবহূত হয়। F1 চাপলে প্রতিটি প্রোগ্রামের ‘হেল্প’ চলে আসে।
F2 : সাধারণত কোনো ফাইল বা ফোল্ডারের নাম বদলের (রিনেম) জন্য ব্যবহূত হয়। Alt+Ctrl+F2 চেপে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের নতুন ফাইল খোলা হয়। Ctrl+F2 চেপে ওয়ার্ডে প্রিন্ট প্রিভিউ দেখা যায়।
F3: এটি চাপলে মাইক্রোসফট উইন্ডোজসহ অনেক প্রোগ্রামের সার্চ সুবিধা চালু হয়। Shift+F3 চেপে ওয়ার্ডের লেখা বড় হাতের থেকে ছোট হাতের বা প্রত্যেক শব্দের প্রথম অক্ষর বড় হাতের বর্ণ দিয়ে শুরু ইত্যাদি কাজ করা হয়।
F4 : ওয়ার্ডের last action performed আবার (Repeat) করা যায় এ কি চেপে। Alt+F4 চেপে সক্রিয় সব প্রোগ্রাম বন্ধ করা হয়। Ctrl+F4 চেপে সক্রিয় সব উইন্ডো বন্ধ করা হয়।
F5 : মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, ইন্টারনেট ব্রাউজার ইত্যাদি Refresh করা হয় F5 চেপে। পাওয়ার পয়েন্টের স্লাইড শো শুরু করা যায়। ওয়ার্ডের find, replace, go to উইন্ডো খোলা হয়।
F6 : এটা দিয়ে মাউস কারসারকে ওয়েব ব্রাউজারের ঠিকানা লেখার জায়গায় (অ্যাড্রেসবার) নিয়ে যাওয়া হয়। Ctrl+Shift+F6 চেপে ওয়ার্ডে খোলা অন্য ডকুমেন্টটি সক্রিয় করা হয়।
F7 : ওয়ার্ডে লেখার বানান ও ব্যাকরণ ঠিক করা হয় এ কি চেপে। ফায়ারফক্সের Caret browsing চালু করা যায়। Shift+F7 চেপে ওয়ার্ডে কোনো নির্বাচিত শব্দের প্রতিশব্দ, বিপরীত শব্দ, শব্দের ধরন ইত্যাদি জানার অভিধান চালু করা হয়।
F8 : অপারেটিং সিস্টেম চালু হওয়ার সময় কাজে লাগে এই কি। সাধারণত উইন্ডোজ Safe Mode-এ চালাতে এটি চাপতে হয়।
F9 : কোয়ার্ক এক্সপ্রেস ৫.০-এর মেজারমেন্ট টুলবার খোলা যায় এই কি দিয়ে।
F10 : ওয়েব ব্রাউজার বা কোনো খোলা উইন্ডোর মেনুবার নির্বাচন করা হয় এ কি চেপে। Shift+F10 চেপে কোনো নির্বাচিত লেখা বা সংযুক্তি, লিংক বা ছবির ওপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করার কাজ করা হয়।
F11: ওয়েব ব্রাউজার পর্দাজুড়ে দেখা যায় ।
F12 : ওয়ার্ডের Save as উইন্ডো খোলা হয় এ কি চেপে। Shift+F12 চেপে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের ফাইল সেভ করা হয়। এবং Ctrl+Shift+F12 চেপে ওয়ার্ড ফাইল প্রিন্ট করা হয়। —মো. আমিনুর রহমান

সোমবার, ২১ মার্চ, ২০১১

ইনস্টল ছাড়া গুগল ক্রোম

যেকোনো কম্পিউটারে ইনস্টটল করা ছাড়াই ব্যবহার করতে পারেন গুগল ক্রোম ব্রাউজার। এ জন্য প্রয়োজন হবে ব্রাউজারটির পোর্টেবল সংস্করণ। এই সংস্করণ পেনড্রাইভে করে যেকোনো জায়গায় বহন করে যেকোনো কম্পিউটারে ব্যবহার করা সম্ভব। http://portableapps.com/apps/internet/google-chrome-portable ঠিকানা থেকে গুগল ক্রোমের পোর্টেবল সংস্করণটি ডাউনলোড করা যাবে।